নিজেদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি তৈরী পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য প্রবেশে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার কোন প্রভাব পড়েনি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে। ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার আওতায় যে সকল পণ্য রয়েছে তার মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশি তৈরী পেশাক মাঝে মধ্যে ১/২ ট্রাক এই বন্দর দিয়ে যায়। তবে সেটিও অনেক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। যে কারণে পণ্য প্রবেশে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার কোন প্রভাব পড়েনি ভোমরা বন্দরে। ভোমরা স্থল বন্দরের সব ধরনের আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক আব্দুল গফুর সরদার বলেন, ভারত সরকার স্থলবন্দর দিয়ে গার্মেন্টস সামগ্রী আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কোন সমস্যা হয়নি ভোমরা বন্দরের। কারণ এই বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস সামগ্রী খুবই কম পরিমান ভারতে যায়। গার্মেন্টস ব্যবসায়িরা বেনাপোল বন্দর বেশি ব্যহার করায় আমাদের এখান দিয়ে মাসে ২/১টি গাড়ি ভারতে যেতে। বর্তমান সময়ে যার সংখ্যা ছিল খুবই কম। ফলে ভোমরা বন্দরে আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, স্থলপথে গার্মেন্টস সামগ্রী রপ্তানিতে খরচ অনেক কম হওয়ায় ব্যবসায়িরা বেনাপোল ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে থাকে কলকাতায়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়িরা যশোরের বেনাপোল বন্দর বেশি ব্যবহার করতো। মাঝে মধ্যে বাংলাদেশি পোশাকের ২/১টি চালান ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারতে যেতে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে এই বন্দর দিয়ে কোন গার্মেন্টস সামগ্রী ভারতে যাচ্ছে না। ফলে কিছু নির্দিষ্ট পণ্য প্রবেশে ভারত সরকারের নিষেজ্ঞার কোন প্রভাব পড়েনি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে।
ভোমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. রুহুল আমিন বলেন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে নির্দিষ্ট র্সখ্যাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। কিছু পণ্য প্রবেশে ভারতীয় নিষেজ্ঞার মধ্যে খুবই স্বল্প পরিমান বাংলাদেশি তৈরী পোশাক এই বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। মাঝে মধ্যে ১/২ ট্রাক তৈরী পোশাক এই বন্দর দিয়ে ভারতের কোলকাতায় যায়। ফলে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার কোন প্রভাব পড়েনি ভোমরা বন্দরে। ভোমরা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারত নিজেদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। শনিবার (১৭ মে) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের কিছু নির্দিষ্ট পণ্য ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে আসায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এরপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে কোনো তৈরি পোশাক ভারতের কোনো স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র নহাভা শেভা এবং কলকাতা সমুদ্র বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আনা যাবে। তবে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে যেসব পণ্য রপ্তানি করা হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
খুলনা গেজেট/এমএনএস